ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবার
ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা পুষ্টি বাড়ি অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করে। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধও করে। ডায়াবেটিস রোগে যারা আক্রান্ত, তারা জেনে নিন সুস্থ থাকার জন্য কোন ধরনের খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করবেন। আসুন এবার জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী খাবার সমূহঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবার সবুজ শাক সবজি সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং ফাইবার থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এমনকি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। পালং শাক, পাতা কপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। শস্য ও দানাদার জাতীয় খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্য ও দানাদার জাতীয় খাদ্য মানুষের শরীরের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারণ এতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ধীরে ধীরে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে শস্য দানা। বাদাম বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনাবাদাম। বাদামে প্রচুর আঁশ এবং হৃৎপিণ্ডের জন্য পুষ্টিকর উপাদান আছে। বাদামের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১০-২০ গ্রাম বাদাম রাখলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। কলাই এবং বীজ জাতীয় খাদ্য কলাই এবং বীজ জাতীয় খাদ্যও ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ এবং আমিষ থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ছোলা বুট, বিভিন্ন রকমের কলাই বা ডাল, সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ অনেক উপকারী। সবুজ চা বা গ্রিন টি সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। মাছ মাছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাছাড়া মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। টক দই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে টক দই সাহায্য করে। টক দইয়ে চিনির পরিমাণ খুব কম থাকে এবং এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। লেবু লেবু ও লেবু জাতীয় টক ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। ভিটামিন সি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। দারুচিনি, রসুন ও মেথি এসব মসলাতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রান্নার পাশাপাশি এসব মসলা স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম জাতীয় ফল বেরি জাতীয় ফলে অ্যানথোসায়ানিন নামের উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের রক্তের ইনসুলিন ভারসাম্য ঠিক রাখে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
0টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]
<< হোম