মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩

জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি নিয়ে ভাবোনা?/কি ভাবে খাবেন

বর্তমানে নবদম্পতিরা চান সংসার ও পেশাগত জীবন গুছিয়ে দু-এক বছর পর সন্তান নিতে। আবার প্রথম সন্তানের পর আরেকটা সন্তান নেওয়ার মধ্যে কেউ কেউ বেশ বিরতি চান। কোন সময় কী ধরনের জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভালো হয়, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকে। এর মধ্যে অন্যতম দুশ্চিন্তা হলো জন্মবিরতিকরণ বড়ি নিয়ে। এটা সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য হলেও নানা প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন অনেকে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রজননক্ষম যেকোনো নারীই জন্মবিরতিকরণ বড়ি খেতে পারেন। কাদের গ্রহণ করা উচিত নয় • বয়স ৪০ বছরের ওপর। • নতুন মা যাঁরা স্তন্যপান করাচ্ছেন। • উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি বা ধমনিতে চর্বির আস্তর পড়েছে। • ধমনি বা শিরায় রক্ত জমাট হওয়ার রোগ আছে যাদের। • মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের ইতিহাস। • জন্ডিসের রোগী ও যকৃৎরোগ বা যকৃতের টিউমার আছে এমন রোগী। • স্তন ক্যানসারের রোগী, মাইগ্রেনের রোগী। সুবিধা • এটি প্রায় ৯৯ শতাংশ কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি। • অনিয়মিত মাসিকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। • মাসিকের সময়কার ব্যথা ও অন্যান্য মাসিক-পূর্ববর্তী উপসর্গ কমায়। • মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের প্রবণতা কমায়। • জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণের ঝুঁকি কমায়। • ডিম্বাশয়ের সিস্ট ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। • এটি একটি অস্থায়ী পদ্ধতি, তাই সন্তান নিতে চাইলে পিল বন্ধ করার তিন-চার মাসের মধ্যেই সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে। অসুবিধা • নিয়মিত প্রতিদিন খেতে হয় তাই ভুলে যাওয়ার বা ডোজ মিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। • স্তন্যদানকারী মায়েরা খেলে বুকের দুধ কমে যেতে পারে। • কনডম বা নিরোধকের ব্যবহারে যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি কমে, এই সুবিধা পিলে নেই। • জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণের কিছু মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন: বিষণ্নতা, মাইগ্রেনের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, মাসিকচক্রের মাঝামাঝি রক্তক্ষরণ, স্তনে ব্যথা করা ইত্যাদি। • বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্মের স্বল্পমাত্রার পিলে ওজন বাড়া, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি বাড়ার ঝুঁকি আগের পিলগুলোর তুলনায় কম। কীভাবে খাবেন মাসিক শুরু হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে শুরু করা যায়, তবে প্রথম দিন থেকে শুরু করাই ভালো। প্রতি রাতে খাবার খাওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় খাবেন। বেশির ভাগ পিলের পাতায় দিন উল্লেখ করা থাকে, সেভাবেই খেতে হবে। টানা ২১ দিন খাওয়ার পর সাতটা আয়রন ট্যাবলেট থাকে। তারপর আবার আরেকটি নতুন পাতা খাওয়া শুরু করতে হবে।

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবার

ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা পুষ্টি বাড়ি অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করে। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধও করে। ডায়াবেটিস রোগে যারা আক্রান্ত, তারা জেনে নিন সুস্থ থাকার জন্য কোন ধরনের খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করবেন। আসুন এবার জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী খাবার সমূহঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবার সবুজ শাক সবজি সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং ফাইবার থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এমনকি ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। পালং শাক, পাতা কপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। শস্য ও দানাদার জাতীয় খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্য ও দানাদার জাতীয় খাদ্য মানুষের শরীরের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারণ এতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ধীরে ধীরে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে শস্য দানা। বাদাম বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনাবাদাম। বাদামে প্রচুর আঁশ এবং হৃৎপিণ্ডের জন্য পুষ্টিকর উপাদান আছে। বাদামের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১০-২০ গ্রাম বাদাম রাখলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। কলাই এবং বীজ জাতীয় খাদ্য কলাই এবং বীজ জাতীয় খাদ্যও ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ এবং আমিষ থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ছোলা বুট, বিভিন্ন রকমের কলাই বা ডাল, সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ অনেক উপকারী। সবুজ চা বা গ্রিন টি সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। মাছ মাছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাছাড়া মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। টক দই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে টক দই সাহায্য করে। টক দইয়ে চিনির পরিমাণ খুব কম থাকে এবং এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। লেবু লেবু ও লেবু জাতীয় টক ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। ভিটামিন সি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। দারুচিনি, রসুন ও মেথি এসব মসলাতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রান্নার পাশাপাশি এসব মসলা স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম জাতীয় ফল বেরি জাতীয় ফলে অ্যানথোসায়ানিন নামের উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের রক্তের ইনসুলিন ভারসাম্য ঠিক রাখে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

কিডনিতে পাথর বুঝবেন কি করে?

আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলছে! বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়। কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনো ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না। কিডনিতে পাথর জমার কারণ : কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন- * বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা। * শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া। * শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য। * অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস। কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ : * রক্তবর্ণের প্রসাব। * বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে। কিডনির অবস্থানে (কোমরের পেছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসা : কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটি সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হলো কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়। সতর্কতা : * কিডনি স্টোনের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। * কখনো প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার। * প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। * দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো। * বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের লক্ষণ ও কারণ

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হারও। চিকিৎসকেরা বলছেন, স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার। কেমন লক্ষণ নিয়ে আসেন রোগীরা? জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা যেখানে প্রকাশ্যে স্তন শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতে চান না, সেখানে শরীরে প্রাথমিক কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা গোপন রাখেন সেসব, যে কারণে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন একেবারে শেষ পর্যায়ে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নাজনীন নাহার বলেন, স্তন ক্যান্সারে শুধু নারীরা নন, পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে। অধিকাংশ সময় তারা স্তনে একটি চাকা নিয়ে আসেন। অনেকে স্তনের বোঁটায় ঘা বা ক্ষত বা বোঁটার চারপাশে কালো অংশে চুলকানির লক্ষণ নিয়ে আসেন।” ̶কারো স্তনের বোঁটা দিয়ে দুধের মত সাদা রস নিঃসৃত হতে থাকে। ব্যথা বা স্তন লাল রং হয়ে গেছে এমন লক্ষণ নিয়ে খুব কমই আসেন।” স্তন ক্যানসার কেন হয়? অধ্যাপক নাজনীন নাহার বলছেন, বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তবে সেই সঙ্গে কিছুটা সচেতনতা বাড়ার কারণে এখন মানুষ চিকিৎসকের কাছেও আগের তুলনায় বেশি যায় এবং সেজন্য আমরা জানতেও পারি বেশি আগের চেয়ে। তিনি বলছে, নানা কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে। ̶আমাদের জীবনাচরণে এবং খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে, সেটি একটি কারণ। এছাড়া কারো পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে হতে পারে। কারো যদি বারো বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় এবং দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকে। সেই সঙ্গে তেজস্ক্রিয় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।” অধ্যাপক নাজনীন নাহার বলেন, দেরিতে সন্তান গ্রহণ, আবার যাদের সন্তান নেই, বা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ বেশি থাকলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে, এবং অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। একই সঙ্গে বয়স বাড়ার সাথে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আর করার কিছু থাকে না। তিনি বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত হলে স্তন ক্যান্সার ১০০ ভাগ নিরাময়যোগ্য। কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে? Presentational grey line • স্তনে চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলে • স্তনের বোঁটার কোন ধরনের পরিবর্তন, যেমন ভেতরে ঢুকে গেলে, অসমান বা বাঁকা হয়ে গেলে • স্তনের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে • স্তনের চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন হলে • বাহুমূলে পিণ্ড বা চাকা দেখা গেলে Presentational grey line ম্যামোগ্রাম এক বিশেষ ধরনের এক্স রে যন্ত্র যাতে স্তনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ধরা পড়ে। • ম্যামোগ্রাম বা বিশেষ ধরনের এক্স রে, যার সাহায্যে স্তনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ধরা পড়ে। • সুনির্দিষ্ট নিয়মে চাকা বা পিণ্ড আছে কিনা, চিকিৎসকের মাধ্যমে সে পরীক্ষা করানো। • নিজে নিজে নির্দিষ্ট নিয়মানুযায়ী স্তন পরীক্ষা করা। বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা বাংলাদেশে ক্যান্সার বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল আছে চারটি। বাংলাদেশ ক্যান্সার ইন্সটিটিউটসহ সরকারি বেসরকারি অনেক হাসপাতালে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩

কীভাবে বুঝবো হ্নদ রোগের ঝুঁকিতে আছি

সুস্থ–সবলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ, কোনো সমস্যা নেই, একদিন হঠাৎ শোনা যায় তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়ে গেছে। সমস্যা হলো এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে প্রায়ই কিছু জানা যায় না। এ রকম হার্ট অ্যাটাকের পরিণতি হয় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু, নয়তো জীবনের সঙ্গে আপস করে কোনোমতে চলা। তাই হৃদ্‌রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হতে হবে। কীভাবে বুঝবেন ঝুঁকিতে আছেন? কোনো সমস্যা বোধ করছেন না, বুকে ব্যথা করে না কখনো, অনেক পরিশ্রমও করতে পারেন, তার মানে কোনো দিন হার্ট অ্যাটাক হবে না—এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে ঝুঁকি কতটুকু আছে, তা জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অকালমৃত্যু বা কঠিন পরিণতি এড়ানো যায়। নিজের ঝুঁকি জানতে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আপনি আপনার ঝুঁকির মাত্রা জানতে পারেন। প্রশ্নের বেশির ভাগ উত্তরই যদি ‘হ্যাঁ’ হয়ে থাকে, তবে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেশি আপনি কি ধূমপান করেন? আপনার পরিবারে কি হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস বা অল্প বয়সে হঠাৎ মৃত্যুর ইতিহাস আছে? আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি আছে? আপনি কি কায়িক শ্রমবিহীন জীবন যাপন করেন? আপনি কি স্থূল বা আপনার কি ওজন বেশি? আপনার মানসিক চাপ কি প্রচণ্ড? জানতে হবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ * বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মধ্যে চাপ বোধ হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। * অনেক সময় বাহু, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভূত হয়। * অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে। * অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথা, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে। হাসপাতালে আসতে হবে গোল্ডেন আওয়ারে কারও হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যেতে হবে। কারণ, হার্ট অ্যাটাকের পর প্রথম এক ঘণ্টা হলো গোল্ডেন আওয়ার, অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসকের জরুরি চিকিৎসা নিতে পারলে রোগীর প্রাণ রক্ষা প্রায় নিশ্চিত করা সম্ভব। এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে বুঝব হার্ট অ্যাটাক, না গ্যাসের কারণে বুকব্যথা? এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে অনেক সময় চলে যায়। বুকে ব্যথা চরমে উঠলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। রোগীর জীবনসংশয় দেখা দেয়। তারপরও চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন। যদি হার্ট অ্যাটাকের তীব্রতা কম হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো প্রাণ রক্ষা পায়। কিন্তু বাকি জীবন কষ্ট করে চলতে হয়। কারণ, হার্ট অ্যাটাকের ফলে হৃৎপিণ্ডের কিছু অংশ অকেজো হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হয়তো চরম ঝুঁকিতে পড়তে হয়। তাই একটু বেশি বয়সীরা বা যাঁরা ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের বুকে ব্যথা হলে অবহেলা না করে অন্তত একটা ইসিজি করে দেখতে পারেন যে হার্টের ব্যথা নয় তো? ডায়াবেটিস থেকে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ ডায়াবেটিসের রোগী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই অকালে মৃত্যুবরণ করে থাকেন। ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগ—এ দুটি পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যে বিষয়গুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত, যেমন অতি ওজন, ধূমপান, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা বংশগতি, এগুলো হৃদ্‌রোগেরও ঝুঁকি। তাই এ দুটি সমস্যা পরস্পরের হাত ধরেই চলে। একটির ঝুঁকি কমালে অপরটির ঝুঁকিও কমে আসে। আর তাই— * রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। * রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন ও প্রয়োজনে চর্বি কমানোর ওষুধ গ্রহণ করুন। * উচ্চ ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত লবণও এড়িয়ে চলুন। ধূমপান করবেন না। সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। * সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটুন বা যেকোনো ব্যায়াম করুন। কায়িক পরিশ্রম বাড়ান। ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। বিশেষ করে পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা করুন। * নিয়মিত রক্তচাপ, শর্করা পরীক্ষা করুন, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ও হৃদ্‌রোগ আছে কি না, তা নির্ণয়ে সচেতন হোন। সব সময় যে উপসর্গ থাকবে, এমন কোনো কথা নেই। ভালো অভ্যাসে সুস্থ হৃদ্‌যন্ত্র ছোট্ট কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন জীবনটাকে বদলে দিতে পারে। সুস্থ রাখতে পারে শরীরের হৃদ্‌যন্ত্রকে। এর জন্য কিছু অভ্যাস ছাড়তে হবে, আবার কিছু সাদরে গ্রহণ করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে বড় প্রয়োজন প্রতিজ্ঞা। সঠিক-স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম—এসব অভ্যাস নিজের পাশাপাশি সন্তান ও পরিজনদের মধ্যেও গড়ে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩

কষা পায়খানা দূর করার উপায়

অনেকের কষা পায়খানা হয়ে থাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন।যেমন বেশি বেশি পানি পান করুন।প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর সময় এক গ্লাস ইসুবগুল মিশ্রিত পানি পান করুন। আঁশ যুক্ত খাবার বেশি বেশি খান দেখবেন ইনশাআল্লাহ অল্প কিছু দিনের মধ্যে কষা পায়খানা দূর হয়ে যাবে। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ঔষধ পাওয়া যায় যেমন ল‍্যাকটুলোস(এভোলাক,ইনোলাক)সোডিয়াম পিকোসালফেট (পিকো প্লাস,ইজি লাইফ)মিল্ক অফ ম‍্যাগনেশিয়া ইত্যাদি ঔষধ পাওয়া যায় যা কষা পায়খানা দূর করতে খুবই সহায়ক।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩

ব্রন দূর করার উপায়

আমাদের অনেকের মুখে ব্রন দেখা যায় এবং কিছু ব্রন কালো রং ধারণ করে সেই সাথে পুঁজ দেখা যায় এবং ব‍্যাথা থাকে। আজ আজ কিছু নিয়ম এবং ঔষধ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে যা অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ ১০০% ব্রণ দূর হবে। ব্রণ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর নিয়ম এবং ঔষধ হলো ১ আপনার তৈলাক্ত ত্বক দূর করতে হবে সেজন্য যেকোনো সাবান অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে কয়েকবার মুখ ধুতে হবে। ২ রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে বেশি রাত জাগা যাবেনা। ৩ অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ৪ কৌষ্ঠকাঠিন‍্য দূর করতে হবে ৫ বেশি করে পানি পান করতে হবে। ৬ অযথা ব্রণে হাত দেওয়া যাবেনা। এবার কিছু ঔষধের কথা বলবো যা আপনার ব্রণ নিরাময়ে শতভাগ কার্যকর। ১ এ মাইসিন লোশন।উষ্ণ পানি ও সাবান দ্বারা মুখ ধুয়ে সকালে এবং রাতে ব‍্যবহার করুন। ২ এজেড ট‍্যাবলেট প্রতি সপ্তাহে একটানা ৩ দিন দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম একমাস।পরবর্তী দুইমাস একদিন পরপর ২৫০ মিলিগ্রাম সেবন করুন। যদি মুখে কালো কালো দাগ থাকে তাহলে ব্রণ ভালো হবার পর নোস্পট ক্রীম ব‍্যবহার করবেন দিনে দুইবার। এই ঔষধ গুলো নিয়মিত ব‍্যবহার এবং সেবন করলে ইনশাআল্লাহ শতভাগ আপনার ব্রন দূর হবে।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

চুল পরা থেকে মুক্তির উপায় %

সাধারণত একজন মানুষের স্বাভাবিক ভাবে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ টি চুল পরে।যাদের অতিরিক্ত চুল ঝরে পরে তারা কিছু ঔষধ সেবন করে এবং কিছু নিয়মকানুন মেনে চুল পরা রোধ করতে পারেন। যতটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে চেষ্টা করুণ। ধূলোবালি এড়িয়ে চলুন ভিটামিন এবং জিংকযুক্ত খাবার খাবেন। কিছু ঔষধ সেবন এবং ব‍্যবহার করেও চুল পরা অনেক কমানো যায় Ecap 400 Mg দৈনিক একবার সেবন করুন। xinc B ট‍্যাবলেট দৈনিক সকালে এবং রাতে সেবন করুন। ketozol 2% শ‍্যাম্পু সপ্তাহে তিনদিন ব‍্যবহার করুন। splendora 5% scalp lotion সপ্তাহে তিনদিন ব‍্যবহার করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার চুল পরা বন্ধ হয়ে যাবে।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩

বীর্য গাড় করার উপায় /বীর্য ঘন করার উপায়

আমাদের সমাজে অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন।আসলে আমাদের কিছু বদঅভ‍্যাসের কারনে এই সমস্যা হয়ে থাকে।আজ আমি কিছু খাবার এবং টিপসের কথা বলবো যেগুলো আপনার বীর্যকে ঘন করতে সাহায্য করবে। * যে কোনো খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাবেন * প্রতিদিন কমপক্ষে দশ মিনিট ব‍্যায়াম করবেন * রাতে ঘুমানোর সময় অল্প পরিমাণ কাঁচা ছোলা এবং বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন সকালে খালি পেটে খাবেন। নিয়মিত খেতে থাকুন ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।এছাড়া বাজারে কিছু ঔষধ পাওয়া যায় যেগুলো আপনার বীর্যকে অনেক গাঢ় করে ঔষধ গুলি হলো ভিটামিন ই যেমন ইক‍্যাপ,ইজেল,ইসফট ৪০০ মিলিগ্রাম দৈনিক রাতে একটি খাবেন সাথে ক‍্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যেমন ক‍্যালবো ডি,রোক‍্যাল ডি খাবেন প্রতিদিন দুপুরে। নিয়মিত এই ঔষধ গুলো খেতে থাকুন ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যেই ফলাফল পাবেন।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩

#এলার্জী দূর করার ভালো উপায় #

যারা দীর্ঘদিন ধরে এলার্জী চুলকানিতে ভূগছেন তাদের জন্য আজ কিছু ঔষধের কথা বলবো। যে ঔষধগুলো নিয়মিত এক মাস সেবন করলে পুরাতন এলার্জী সহ যে কোন ধরনের এলার্জী নির্মূল হবে। আপনার আশেপাশে যে কোন ফার্মেসীতেই এই ঔষধগুলো পাবেন। এজিথ্রোমাইসিন 250 মিলিগ্রাম, প্রেডনিসোলন 5 মিলিগ্রাম, লিভোসেটিরিজিন 5 মিলিগ্রাম এবং মন্টিলুকাস্ট 10 মিলিগ্রাম। এই চারটি ঔষধ একসঙ্গে একটি করে দৈনিক রাতে একবার সেবন করুন ইনশাআল্লাহ পুরাতন এলার্জী সহ যে কোনো ধরনের চুলকানি একেবারে চলে যাবে। আমি এখানে জেনেরিকের নাম উল্লেখ করেছি বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নামে ঔষধ পাওয়া যায়। জেনেরিক মিল রেখে ভালো কোম্পানির ঔষধ সেবন করলে ইনশাআল্লাহ এলার্জী থেকে মুক্তি পাবেন। তবে একটি কথা না বললেই নয় সব সময় ধূলোবালি এড়িয়ে চলবেন।